বেসন হলো ছোলার ডাল বা বুটের ডাল ভেঙে তৈরি করা একপ্রকার গুঁড়া। এটি বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান এবং নেপালে খুব জনপ্রিয়।
বেসনের কিছু বৈশিষ্ট্য:
- উচ্চ প্রোটিন: বেসন প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। এতে প্রায় 22% প্রোটিন থাকে।
- ফাইবার সমৃদ্ধ: বেসন ফাইবার সমৃদ্ধ। এতে প্রায় 10% ফাইবার থাকে।
- গ্লুটেন-মুক্ত: বেসন গ্লুটেন-মুক্ত, তাই এটি celiac রোগীদের জন্য উপযুক্ত।
- সহজলভ্য: বেসন সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী।
- বহুমুখী: বেসন বিভিন্ন ধরণের খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
বেসনের ব্যবহার:
- খাবার তৈরিতে: বেসন বিভিন্ন ধরণের খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়, যেমন:
- ভাজা: বেগুনি, পেঁয়াজু, আলুভাজি, ডিমচপ, মিষ্টি বড়া
- তরকারি: মসুর ডাল, ছোলার ডাল,
- রুটি: বেসনের রুটি
- খিচুড়ি: মুগ ডালের খিচুড়ি, ছোলার ডালের খিচুড়ি
- মিষ্টি: সেমাই,
- সৌন্দর্যের যত্নে: বেসন ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী। এটি মুখের মাস্ক এবং চুলের প্যাক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
বেসনের স্বাস্থ্য উপকারিতা:
- হজম উন্নত করতে সাহায্য করে: বেসনে থাকা ফাইবার হজম উন্নত করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে: বেসনে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
- হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে: বেসনে থাকা ফাইবার এবং প্রোটিন হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
- ওজন কমানোতে সাহায্য করে: বেসন প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ বোধ করতে সাহায্য করতে পারে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: বেসনে থাকা ভিটামিন এবং খনিজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী: বেসনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
বেসন ব্যবহারের সতর্কতা:
- বেসন অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।
- বেসন অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া গ্যাস্ট্রিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
Reviews
There are no reviews yet.