দারুচিনি ‘Cinnamomum’ গাছের ছাল থেকে তৈরি এক ধরণের মশলা। এটি দীর্ঘকাল ধরে রান্না, ঔষধি এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। দারুচিনির দুটি প্রধান প্রকার রয়েছে:
- সিলন দারুচিনি: এটি ‘Cinnamomum verum’ গাছ থেকে উৎপন্ন এবং এটি বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান দারুচিনি।
- ক্যাসিয়া দারুচিনি: এটি ‘Cinnamomum cassia’ গাছ থেকে উৎপন্ন এবং এটি সিলন দারুচিনির চেয়ে সহজলভ্য ও কম ব্যয়বহুল।
দারুচিনির উপকারিতা:
- রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: দারুচিনিতে ‘সিনামালডিহাইড’ নামক উপাদান রয়েছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: দারুচিনি ‘এলডিএল’ (খারাপ) কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং ‘এইচডিএল’ (ভালো) কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
- প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে: দারুচিনিতে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা গাঁটে ব্যথা, বাত এবং অন্যান্য প্রদাহজনিত রোগের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: দারুচিনিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
- মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে: দারুচিনি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে দারুচিনি ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
- হজমশক্তি উন্নত করে: দারুচিনি হজমশক্তি উন্নত করতে এবং পেট খারাপের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
- মুখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: দারুচিনি মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে এবং দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে।
দারুচিনি ব্যবহারের সাবধানতা:
- গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মহিলাদের দারুচিনি ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
- যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা কম (হাইপোগ্লাইসেমিয়া) তাদের দারুচিনি ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
- দারুচিনিতে ‘কুমারিন’ নামক উপাদান রয়েছে যা অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে।
Reviews
There are no reviews yet.